পাত্র আপনার পছন্দ হয়েছে?
যদি হয়, তাহলে অবশ্যই পছন্দ হবার মত কিছু আছে তার৷ এই না?
আমাদের মধ্যে কিন্তু হাজির হয় যখন আমরা পুরোপুরি কোন বিষয়ে সম্মত না হই৷ অর্থাৎ ডিসিশনটা পুরোই আপনার ওপর নির্ভর করছে৷ আপনার যদি পছন্দ হয় তবে সে একদম কোন কালেই স্কুলে না যাওয়া হলেও সমস্যা নেই৷ আর আপনার পছন্দ না হলে হার্ভার্ডের ডিগ্রিধারী হলেও তো লাভ নেই, কী বলেন?
এবার আসি, শিক্ষার পরিমাপে৷ পাত্রটি এইচএসসি পাশ, তিনি যদি এমবিএ করা হতেন এবং একই রকম প্রবাসীই হতেন, তাতে বাড়তি কী লাভ হত? আপনারা বাসায় রোজ এমবিএ কোর্সের প্রতিযোগিতা বসাতেন?
আমার এক বন্ধু প্রবাসে থাকে, সে এইট পাশও করতে পারেনি৷ আমি দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার পরও আমার ওই বন্ধুর তুলনায় আমি আনস্মার্ট! অসংখ্য শিক্ষিত মানুষই আছে যারা স্ত্রীকে মানুষের সম্মানটাও দেয় না! শিক্ষিত নামক সার্টিফিকেটটা কখনই একটা মানুষের ভালো মন্দের বা ফিটনেসের মাপকাঠি হতে পারে না৷ এইচএসসি পাশ করা মানুষটা ইতালিতে গিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন, আর দেশে এমবিএ করে অনেকেই বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে, আছে না অহরহ?
তাহলে অযথা ভাবছেন কেন? যিনি প্রবাসে জীবন কাটাচ্ছেন, তিনি আপনার চেয়ে কম শিক্ষিত হলেও তাঁর কাছ থেকে আপনিও অনেক কিছু শিখতে পারবেন, এবং তাঁর সঙ্গে মেশার একেকটা দিন আপনি আবিষ্কার করবেন আপনি তাঁর চেয়ে কত কিছু এখনও কম জানেন!
সার্টিফিকেট নয়, ব্যক্তিকে দেখুন, তাঁর আচার ব্যবহার দেখুন৷
আপনাদের দুজনের জন্যই শুভ কামনা৷ বেস্ট অব লাক৷