প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাই নতুন জীবনের শুরুর জন্য। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খোলামেলা আলোচনা খুবই জরুরি।
আপনারা যে একে অপরের সাথে সহজে নিজেদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা শেয়ার করতে পারছেন, সেটা খুবই ভালো লক্ষণ।
এখন আপনার প্রশ্নের উত্তরে আসি। আপনারা যেহেতু সন্তান নেওয়ার ব্যাপারে এখনই প্রস্তুত নন, সেহেতু কনডম ছাড়াও অন্যান্য জন্মনিরোধক পদ্ধতি সম্পর্কে জানা জরুরি।
ফেমিকন (Femicon):
ফেমিকন হল এমন একটি জন্মনিরোধক বড়ি, যা নারীরা গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করে।
এটি মূলত দুটি হরমোন, ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন এর সমন্বয়ে তৈরি। এই হরমোনগুলো ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ প্রতিরোধ করে এবং জরায়ুর আবরণী পাতলা করে, যার ফলে নিষিক্ত ডিম্বাণু স্থাপিত হতে পারে না।
কিভাবে খাবেন:
- চিকিৎসকের পরামর্শ: সবার আগে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। তিনি আপনার শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসা ইতিহাস বিবেচনা করে আপনার জন্য উপযুক্ত জন্মনিরোধক বড়ি নির্বাচন করবেন।
- সঠিক সময়: সাধারণত মাসিকের প্রথম দিন থেকে ফেমিকন খাওয়া শুরু করতে হয়। প্রতিদিন একই সময়ে একটা করে বড়ি খেতে হবে। ২১ দিন খাওয়ার পর ৭ দিন বড়ি খাওয়া বন্ধ রাখতে হয়। এই ৭ দিনের মধ্যে মাসিক হওয়ার কথা।
- নির্দেশনা মেনে চলা: ফেমিকনের পাতায় দেওয়া নির্দেশনা মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং সে অনুযায়ী বড়ি খান।
- নিয়মিততা: ফেমিকনের কার্যকারিতা নির্ভর করে এর নিয়মিত সেবনের উপর। প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
অন্যান্য জন্মনিরোধক পদ্ধতি:
- জন্মনিরোধক ইনজেকশন: এটি ৩ মাস অন্তর নেওয়া হয়।
- জন্মনিরোধক ইমপ্লান্ট: এটি হাতের ত্বকের নিচে স্থাপন করা হয় এবং ৩ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
- আই ইউ ডি (IUD): এটি জরায়ুতে স্থাপন করা হয় এবং ৫-১০ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ:
প্রথমত যেকোনো জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আপনার স্বামী যদি ডাক্তারের সাথে কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন, তাহলে আপনি নিজে ডাক্তারের সাথে কথা বলে সবকিছু জেনে নিতে পারেন।
জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহারের পাশাপাশি নিরাপদ যৌন সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলো সম্পর্কেও সচেতন থাকুন।