যে পদ্ধতির সাহায্যে মিলনের পূর্বে নারী পুরুষের মাধ্যে মিলনের ইচ্ছা জাগ্রত এবং যৌন আকাঙ্খা তৈরি করা হয় তাকেই শৃঙ্গার বা Foreplay বলে। অন্যভাবে বলা যায় যোনিতে লিঙ্গ সঞ্চালনের পূর্বে স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসার মাধ্যমে ইচ্ছার চুড়ান্ত অবস্থায় পৌছানোর পদ্ধতিকে শৃঙ্গার বা Foreplay বলে।
সাধারণত পুরুষের শৃঙ্গার দরকার হয় না, তবে যাদে লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা রয়েছে এবং যাদে বয়স হয়েছে তাদের লিঙ্গ দৃঢ়তা লাভ করতে শৃঙ্গার প্রয়োজন হয়। দেহের উত্তেজনাপ্রবন জায়গাগুলোতে নারীর হস্ত সঞ্চালনে পুরুষ খুব সহজেই উত্তেজনা লাভ করতে পারে। নারী শৃঙ্গার ছাড়া পূর্ণ তৃপ্তি লাভ করতে পারে না।
কেন শৃঙ্গার করা উচিত | Why should Foreplay be done?
যৌন মিলনকে সর্বোচ্চ আনন্দময় করতে ফোরপ্লের বিকল্প নেই। ফোরপ্লে ব্যতীত স্ত্রী পূর্ণ তৃপ্তি লাভ করতে পারে না। স্বাভাবিক মিলনে স্ত্রীর আগ্রহ দিন দিন কমে যায়। কিন্তু ফোরপ্লে করার মাধ্যমে উত্তেজিত করা হলে স্ত্রী সর্বোচ্চ তৃপ্তি পায় এবং নিজের থেকেই মিলনের জন্য আকাঙ্খা পোষন করে।
মিলনের পূর্বে সঠিকভাবে ফোরপ্লে করা হলে নারী যৌনতাকে দেহ মন দিয়ে উপভোগ করে, এটি বোঝার সহজ উপায় হলো কিছুক্ষণ ফোরপ্লে করার পরে নারীর যোনিতে কাম রস নিঃসৃত হতে থাকে। এটি লিঙ্গ সঞ্চালনের উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করে।
ফোরপ্লে ব্যতিত নারী সহজে উত্তেজিত হতে পারে না, নারীর যৌনতা শুধু যৌনাঙ্গ ভিত্তিক নয়, শরীরের বিভিন্ন কামগ্রন্থিগুলি যদি উদ্দীপিত উত্তেজিত না হয় তবে নারী যৌন মিলনে আনন্দ অনুভব করতে পারে না। নারী চায় পুরুষ তাকে দীর্ঘক্ষণ ভালবাসুক, তাকে আদর সোহাগ করে তার কামাদ্রিকে উত্তেজিত করুক, কামরসে সিক্ত করুক তার যোনি পথ।
একটা ছেলেই সবসময় তার পার্টনারকে উত্তেজিত করবে তা কিন্তু নয়। একটা মেয়েকেও সমানভাবে তার পার্টনারকে উত্তেজিত করা প্রয়োজন। মানে ফোরপ্লে উভয়কেই করতে হবে যৌন মিলনের সম্পূর্ণ সুখ পাওয়ার জন্য।
সবার যৌন উত্তেজনা সমান নয়। কেউ সামান্য হাগ(Hug) ও চুম্বনেই(kiss) উত্তেজিত হয়ে পড়ে আবার কারোর অনেকটা সময় লাগে উত্তেজিত হতে। তবে সে যেমনই হোক না কেন, সম্পূর্ণ যৌন তৃপ্তি পেতে সঠিকভাবে ফোরপ্লে করা প্রয়োজন।
কিভাবে করতে হয় শৃঙ্গার | How to do Foreplay?
নারীর দেহে ও মনে মিলনের ইচ্ছা ও আবেগ সঞ্চারিত করার জন্য শৃঙ্গার পদ্ধতির বিভিন্ন রূপ হল প্রেম আলাপ, স্পর্শ, চুম্বন, মদন প্রভৃতি।
প্রেম আলাপ দিয়ে যৌন মিলনের সূচনা করতে হয়, মৃদুস্বরে ফিসফিস করে প্রেমআলাপ দুজনকেই যৌনতার দিকে ধাবিত করে। নারীর কোমল কন্ঠ পুরুষকে সহজেই লালায়িত করে।
স্পর্শ যৌন আবেশ সৃষ্টি করে দারুন ভাবে, প্রেম আলাপের কিছু পরে স্পর্শ শুরু করতে হয়। নারী দেহের বিভিন্ন উদ্দীপক অঞ্চল ঘাড়, গলা, বুক, স্তনযুগল ও তলপেট পুরুষের হাতের মৃদু স্পর্শে নারী দেহ উত্তাপের সঞ্চার করে এবং নারী দেহে সুখ অনুভূতির সৃষ্টি হয়, নারী ক্রমশ পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।
স্পর্শের দিক দিয়ে নারী দেহের সর্বাপেক্ষা উদ্দীপক অঞ্চল হল যোনির উপরিভাগে অবস্থিত ক্লাইটরিস বা ভগাঙ্কুর। তবে প্রথমেই যোনি স্পর্শ করা যাবে না।
স্পর্শে নারীদেহে যে সুখানুভূতির সৃষ্টি হয় দেহের বিশেষ বিশেষ অংশ চুম্বনে তা আরও তীব্রতা লাভ করে । বিশেষত স্তনের বোঁটা , ঠোঁট , মুখ ও ঘাড় অঞ্চলে চুম্বন নারীর কাছে অধিক সুখদায়ক।
নারী ও পুরুষের যৌন উত্তেজনা লাভের সঙ্গে সঙ্গে চুম্বনের মাত্রা ও গভীরতাও আরও বৃদ্ধি পায় তবে নারীদেহের ঠোঁট ও স্তন যুগল চোষণ ও একই সঙ্গে দেহের বিভিন্ন অংশে মর্দন দেহে এক অদ্ভুত যৌন আবেশ সৃষ্টি করে।
নারীর স্তনের মধ্যে স্তনের বোঁটা সর্বাপেক্ষা স্নায়ুপ্রধান সেই কারণে বোঁটাকে দুই আঙুলের সাহায্যে মৃদুভাবে চাপ দিতে থাকলে বা দাঁতের সাহায্যে মৃদু টাস করলে নারী দেহে তীব্র আনন্দের সৃষ্টি হয়।
দুই হাতের তালু ও আঙুলের সাহায্যে স্তনকে নিচ থেকে উপরের দিকে মর্দন করতে থাকলে নারীর সুখানুভূতি তীব্র হয় এই সময় নারী চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে, তার গলা থেকে মাঝে মাঝে বিকৃত স্বর নির্গত হতে থাকে এবং পুরুষের কাছে তখন সম্পূর্ন আত্মসমর্পণ করে ।
এই সময় নারীর যোনি প্রদেশের রক্তনালীতে ও ক্লাইটরিসে রক্ত সরবরাহের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে নারীর যোনির মুখ কিছুটা স্ফীত ও আলগা হয়ে যায় এবং নারী যোনিতে তীব্র স্নায়বিক উত্তেজনা অনুভব করে।
যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের এটাই উপযুক্ত সময়। এই সময় লিঙ্গের সাহায্যে পুরুষ নারীর যোনিতে চাপ দিতে থাকলে নারী অপূর্ব আনন্দ অনুভব করে।
যৌন মিলনের শুরুতে ৮/১০ মিনিট Foreplay করে মিলন করলে নারী পুরুষ উভয়ের আনন্দিত হয়। নারী এই বিশেষ মুহূর্তকে স্মরণ রাখে এবং পরবর্তি মিলনের অপেক্ষায় থাকে।
ফোরপ্লে কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কিত টিপস্-
যে সকল স্বামী স্ত্রী অল্প সময়েই সহবাস শেষ করে দেন, তাদের জন্য রইল কিছু কথা,
বিশেষ বিশেষ জায়গায় ২ মিনিট করে সময় দিন।
১.ঠোঁট..... ২ মিনিট
২.দুই কান.... ৪ মিনিট
৩. কপাল......২ মিনিট
৪.ঘাড়...........২ মিনিট
৫.পিঠ............ ২ মিনিট
৬.পেট..............৫মিনিট
৭.দুই হাত.......... ৪ মিনিট
৮.দুই পা............. ৪ মিনিট
৯.নিতম্ব ...... ৫ মিনিট
১.ব্রেস্ট........... ৬ মিনিট
১১. যৌনি পথ......১০ মিনিট
মোট 10-40 মিনিট সময় ধরে ফরপ্লে করুন।ফলাফল নিজে দেখুন- এটা স্বামী স্ত্রী দুইজনেই করবে।
১. প্রথমেই সরাসরি যৌন মিলন বা যৌনাঙ্গে স্পর্শ করবেন না। প্রথমে আপনার পার্টনারকে টেনে নিজের বুকে নিন এবং তাকে জড়িয়ে ধরুন। এবং তার কপালে চুম্বন করুন। তাকে এটা বিশ্বাস করান যে সে আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
২. এরপর আপনি তার ঠোঁটে দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বন করুন এবং আপনার পার্টনার কেও সমানভাবে সহযোগিতা করতে বলুন। একে অপরের সাথে ভালোবাসায় মিশে যান।
৩. এরপর আপনি আপনার পার্টনারের সারা শরীরে চুম্বন করতে পারেন। তবে কয়েকটি বিশেষ জায়গা তে স্পর্শ বা চুম্বন অবশ্যই করবেন। যেমন:
কানের লতি – কানের লতি তে আলতো করে চুম্বন ও জিহ্বা দ্বারা স্পর্শ করতে পারেন। তবে ভুলেও কানের ছিদ্রে জিহ্বা দেবেন না, তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
গলা ও ঘাড় – ফোরপ্লে পদ্ধতির মধ্যে এটি অন্যতম। আপনার পার্টনারের গলা ও ঘাড়ে আলতো চুম্বন ও জিহ্বা দ্বারা স্পর্শ করুন।
পিঠ – আপনার পার্টনারের উন্মুক্ত পিঠে ভালোবাসা পূর্ণ চুম্বন করুন।
পেট – সারা পেটে চুম্বন করুন, হাত দিয়ে পেটে হাল্কা মাসাজ করতে পারেন। তবে সবথেকে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো আপনার জিহ্বা দিয়ে আপনার সঙ্গীনীর নাভির চারপাশে ও নাভির ভিতর যতটা সম্ভব স্পর্শ করুন।
পায়ের আঙুল – আপনার সঙ্গীনীর পায়ের আঙুলে কিস করুন। তাছাড়া পায়ের আঙুলে জিহ্বা দ্বারা স্পর্শ করুন এবং প্রয়োজনে আঙুলটি মুখের ভিতরে নিয়েও আদর করতে পারেন।
৪. এরপর ফোরপ্লের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আপনার পার্টনারের স্তনকে আদর করা।
প্রথমে আপনার হাতের সাহায্যে আপনার সঙ্গীনীর স্তনকে ধীরে ধীরে চাপুন এবং আঙুল দিয়ে স্তনের চারপাশে বোলাতে থাকুন। এরপর জিহ্বা দ্বারা স্তনে স্পর্শ করুন। তবে প্রথমেই স্তনবৃন্ততে স্পর্শ করবেন না। প্রথমে স্তনের চারিদিকে জিহ্বা দ্বারা স্পর্শ করুন এবং তারপর ধীরে ধীরে স্তনবৃন্ততে স্পর্শ করুন।
এই পদ্ধতি কেবল মাত্র ছেলেরা নয়, এমনকি একটা মেয়েও তার পার্টনারের সাথে করতে পারেন।
নারীর উত্তেজনা (শুরু থেকে শেষ)
এই আলোচনা শুধু মাত্র বিবাহিততের জন্য, অবশ্য আগেই বল হয়েছে বিবাহিতদের জন্য এই গ্রুপ।
যৌন আবেশ
যে পদ্ধতির সাহায্যে মিলনের পূর্বে বিভিন্ন শৃঙ্গার পদ্ধতির মাধ্যমে নারীর মনে মিলনের ইচ্ছা জাগ্রত করা হয় তাকেই যৌন আবেশ বলে।
যৌন আবেশের মধ্য দিয়েই নারীর দেহে ও মনে মিলনের ইচ্ছা ও আবেগ সঞ্চারিত হয় এবং এ ক্ষেত্রে শৃঙ্গার পদ্ধতির (Foreplay) বিভিন্ন রূপ হল স্পর্শ, চুম্বন, চোষণ, মদন প্রভৃতি।
যৌন আবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে স্পর্শের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নারী দেহের বিভিন্ন উদ্দীপক অঞ্চলে যেমন ঘাড়, গলা, বুক, স্তনযুগল ও তলপেট পুরুষের হাতের মৃদু স্পর্শে নারী দেহ উত্তাপের সঞ্চার করে এবং নারী দেহে সুখানুভূতির সৃষ্টি হয়, নারী ক্রমশ পুরুষের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ে।
স্পর্শের দিক দিয়ে নারী দেহের সর্বাপেক্ষা উদ্দীপক অঞ্চল হল যোনির উপরিভাগে অবস্থিত ক্লাইটরিস। কাজেই প্রথমেই যোনি প্রদেশ স্পর্শ না করাই ভাল।
স্পর্শে নারীদেহে যে সুখানুভূতি ও আবেশের সৃষ্টি হয় দেহের বিশেষ বিশেষ অংশে , চুম্বনে তা আরও তীব্রতা লাভ করে । বিশেষত স্তনের বোঁটা , ঠোঁট , মুখ ও ঘাড় অঞ্চলে চুম্বন নারীর কাছে অধিক সুখদায়ক ।
নারী ও পুরুষের যৌন উত্তেজনা লাভের সঙ্গে সঙ্গে চুম্বনের মাত্রা ও গভীরতাও আরও বৃদ্ধি পায় তবে নারীদেহের ঠোঁট ও স্তন যুগল চোষণ ও একই সঙ্গে দেহের বিভিন্ন অংশে মর্দন দেহে এক অদ্ভুত যৌন আবেশ সৃষ্টি করে।
নারীর স্তনের মধ্যে স্তনের বোঁটা সর্বাপেক্ষা স্নায়ুপ্রধান সেই কারণে বোঁটাকে দুই আঙুলের সাহায্যে মৃদুভাবে চাপ দিতে থাকলে বা দাঁতের সাহায্যে মৃদু দংশন করলে নারী দেহে তীব্র আনন্দের সৃষ্টি হয়।
(তবে মনে রাখা দরকার নারীর স্তনকে কখনই খুব জোরের সঙ্গে টানতে নেই)
দুই হাতের তালু ( হাতের মধ্য অংশ ) ও আঙুলের সাহায্যে স্তনকে নিচ থেকে উপরের দিকে মর্দন করতে থাকলে নারীর সুখানুভূতি তীব্র হয় এই সময় নারী চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে, তার গলা থেকে মাঝে মাঝে বিকৃত স্বর নির্গত হতে থাকে এবং পুরুষের কাছে তখন সম্পূর্ন আত্মসমর্পণ করে ।
এই সময় তার বস্ত্র উন্মোচন করা হলে তার কোন আপত্তি থাকে না । এমন কি নারী নিজেই তার অন্তবাস খুলে ফেলে পুরুষের কাছে দৃঢ় আলিঙ্গন কামনা করে । এবং পুরুষের দৃঢ় আলিঙ্গনে নারীর যৌন আবেশ সম্পূর্ণ হয় এই সময় নারীর যোনিতে কামরস যে নিঃসৃত হচ্ছে তা পরিষ্কার বুঝতে পারা যায়।
নারীর যৌন আবেশের সময় কাল 10-15 মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময় নারীর যোনি প্রদেশের রক্তনালীতে ও ক্লাইটরিসে রক্ত সরবরাহের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে নারীর যোনির মুখ কিছুটা স্ফীত ও আলগা হয়ে যায় এবং নারী যোনিতে তীব্র স্নায়বিক উত্তেজনা অনুভব করে।
যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের এটাই উপযুক্ত সময়। এই সময় লিঙ্গের সাহায্যে পুরুষ নারীর যোনিতে চাপ দিতে থাকলে নারী অপূর্ব আনন্দ অনুভব করে।
দ্বিতীয় অবস্থা (যার যৌন সমস্যা আছে সে দ্বিতীয় অবস্থায় সম্পন্ন করতে পারে না।)
যৌন আবেশের পরবর্তী অবস্থা হল যৌন উত্তেজনা লাভ। এই সময় নারীর যোনির লেবিয়া মাইনরার উপরের ভাঁজে অবস্থিত Clitoris বা ভগাঙ্কুর কে আঙুলের সাহায্যে ঘর্ষণ করা হলে নারীর যৌন আবেশ ছিন্ন হয়ে নারী চঞ্চল হয়ে ওঠে।
সাধারণত ভগাঙ্কুরকে মৃদু থেকে ক্রমশ দ্রুত ভাবে ঘর্ষণ করা উচিত। এর ফলে নারীর উত্তেজনা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সাধারণ অবস্থায় এই ভগাঙ্কুরকে লেবিয়া মাইনরার ভাঁজে খুব পরিষ্কার ভাবে দেখতে পাওয়া যায় না।
কিন্তু উত্তেজিত অবস্থায় তা সহজেই দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে। ভগাঙ্কুরকে ঘর্ষণ করার 15-25 সেকেন্ডের মধ্যেই যোনি কামরসে সিক্ত হয়ে পড়ে। একে যোনির সিক্ত অবস্থা বলা হয়।
ভগাঙ্কুর দেহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা স্নায়ুপ্রধান ও স্পর্শকাতর অঙ্গ। ভগাঙ্কুরকে ঘর্ষণের ফলে নারীর উত্তেজনা এত তীব্র হয় যে নারী সাময়িক ভাবে তার লজ্জা, সংকোচন ভুলে যায় ও পুরুষকে সজোরে আলিঙ্গন করতে থাকে।
এই সময় নারীর স্তন যুগলের আয়তন বৃদ্ধি পায়। ঝুলন্ত স্তনের চাইতে সুডোল স্তনযুক্ত অল্পবয়স্কা নারীদের দেহে এই পরিবর্তন আরও পরিষ্কার বুঝতে পারা যায়।
স্তনের বোঁটা বা Nipple সাধারণ অবস্থায় নিম্নাভিমুখী থাকে কিন্তু উত্তেজিত অবস্থায় তা ঊর্ধ্বমুখী হয় এবং এটা নারীর উত্তেজনা লাভের একটা বিশেষ লক্ষণ, দুইটি স্তন একই আকারে বর্ধিত হয় না। কোনটি একটু বেশি কোনটি কম।
ভগাঙ্কুরকে ঘর্ষণের কিছু মধ্যেই ( 30-40 সেকেন্ড ) নারীর শরীর প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের জন্য তীব্র আকুলতা জানায়। এই সময়টা পুরুষের কাছেও যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করানোর উপযুক্ত সময় কারণ এই সময় যোনি রসে সিক্ত থাকায় লিঙ্গ খুব সহজেই যোনিতে প্রবেশ করতে পারে। এই সময় নারীর হৃদঘাত ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। দ্রুত শ্বাস পড়তে থাকে।
এই সময় যোনিতে লিঙ্গের ঘর্ষণের ফলে এক অপূর্ব সুখানুভূতির সৃষ্টি হয় এবং ঘর্ষণের মাত্রা যত দ্রুত ও জোরের সঙ্গে হয় নারীর সুখানুভূতিও তত তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে।
পুরুষ নারীর যোনিতে লিঙ্গের সঞ্চালনের মাত্রা একভাবে বজায় রেখে মিলনের সময় বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ভোগের কাল বৃদ্ধি পেতে পারে কিন্তু চরম তৃপ্তি লাভের জন্য যৌনি মধ্যে লিঙ্গের দ্রুত সঞ্চালন একান্ত প্রয়োজন এবং নারী চরম তৃপ্তি লাভের জন্য যোনি মধ্যে লিঙ্গের দ্রুত সঞ্চালনই কামনা করে।
(যার যৌন সমস্যা আছে সে দ্বিতীয় অবস্থায় সম্পন্ন করতে পারে না।)
এই সময় নারীর গলা থেকে বিকৃত স্বর নির্গত হতে থাকে। নারী হাত ও পায়ের সাহায্যে পুরুষের দেহের বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে এবং দেহে অস্থিরতা দেখা দেয়। এই অবস্থা 2-3 মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং এই সময়ের মধ্যেই নারী উত্তেজনার চরম অবস্থায় পৌঁছে যায় এবং তার উত্তরণ ঘটে।
নারীর উত্তেজনা লাভের তৃতীয় অবস্থা-
নারী চরম উত্তেজনা লাভের সঙ্গে সঙ্গেই তার তীব্র স্নায়বিক উত্তেজনা ও অধিক সংকোচন ও প্রসারণের সংবেদন জরায়ু ও যোনির মধ্যে প্রতিফলিত হয় এবং এক মৃদু সুখানুভূতি দেহের প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে যায়।
নারীর যোনিমুখ, যোনিগাত্র ও জরায়ু মুখ ক্রম সংকুচিত ও প্রসারিত হতে থাকে এবং সংকোচন ক্রমশ নারীর মলদ্বার, মুত্রনালী ও পেলভিস এ ছড়িয়ে পড়ে। যোনি ও জরায়ু মুখের ক্রমিক সংকোচন যোনির মধ্যে প্রবিষ্ট পুরুষাঙ্গের উপর বেষ্টিত চাপ ও পুরুষাঙ্গগের মুখে শোষণ চাপের সৃষ্টি করে। পুরুষ একটু খেয়াল করলে তার লিঙ্গের উপর নারীর উত্তেজনা লাভ সুচক এই বেষ্টিত চাপ পরিষ্কার বুঝতে পারে।
পুরুষাঙ্গের উপর এই চাপ সৃষ্টির ফলে পুরুষের উত্তেজনাও খুব দ্রুত বেড়ে যায় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তারও বীর্যপাত ঘটে, যোনির ক্রমিক সংকোচন ও প্রসারণ নারীর দেহ মনে যে অনাবিল আনন্দ সৃষ্টি করে ঠিক এই সময়ে একই সঙ্গে পুরুষের বীর্যপাত তার সার্বিক পূর্ণতা দান করে ।
উত্তপ্ত তরল বীর্য নারীর যোনিতে অপূর্ব সুখানুভূতির সৃষ্টি করে এবং নারী চরম তৃপ্তি লাভ করে। পুরুষের মতন নারীর যদিও বীর্যপাত ঘটে না তবুও চরম তৃপ্তি লাভের সঙ্গে সঙ্গে যোনি অভ্যন্তরে রসক্ষরণ হতে থাকে, একেই নারীর রাগমোচন বা অর্গাজম বলে ।
বেশির ভাগ নারীই তাদের এই সময়কার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। তবে তা তার চোখ মুখের ভাবে স্পষ্ট বুঝতে পারা যায়। রাগমোচনের পর নারীর স্নায়বিক উত্তেজনা ক্রমশ স্তিমিত হয়ে আসে । কিন্তু পুরুষের মতন নারীর এই সুখানুভূতির রেশ পুরুষের বীর্যপাতের মতন নিমিষেই শেষ হয়ে যায় না। নারী তার মন ও শরীর দিয়ে উপভোগ করার চেষ্টা করে।
নারীর উত্তেজনা লাভের চতুর্থ অবস্থা-
চরম তৃপ্তি লাভের পরই নারীর দেহে ও মনে ক্রমশ এবং অপূর্ব শান্তি নেমে আসে। নারীর দেহে পূর্বের স্নায়বিক উত্তেজনা ও চঞ্চলতা আর প্রকাশ পায় না, শ্বাস প্রশ্বাসের পর স্বাভাবিক হয়ে আসে, রক্তের উচ্চচাপ কমে যায়, স্তনযুগলের আয়তন মাপের থেকে কমে আসে এবং পুনরায় অবনমিত হয়ে পড়ে।ভগাঙ্কুরের আকার ছোট হয়ে যায় এবং বাইরে থেকে আর লক্ষ্য করা যায় না।
চরম আনন্দের প্রকাশ বিভিন্ন নারীর ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়
কেউ চোখ বন্ধ করে পুরুষকে জড়িয়ে শুয়ে থাকে
কোনও কোনও নারী আবার পুরুষকে ঘন ঘন চুম্বন ও আদর করতে থাকে
আবার কেউ বেশি কথা বলতে থাকে তবে বেশির ভাগ নারীই চরম তৃপ্তি লাভের পর পরস্পর আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় থাকতে চায় এবং পুরুষের আলিঙ্গন কামনা করে।
তবে নারীর চরম উত্তেজনা লাভের পূর্বেই বা পূর্বমুহুর্তে যদি পুরুষের বীর্যপাত ঘটে যায় তবে নারীর দেহ - মন গ্লানিতে ভরে যায়, নারীর শরীর ও মনে অস্থিরতা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়, কখনও কখনও তলপেটে ব্যথা দেখা দেয় ।
দু ’ চোখে অশ্ৰুবর্ষণ হতে থাকে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নারী পুরুষের প্রতি অসদ ব্যবহার ও কটু মন্তব্য করতে থাকে, নারীর এই অতৃপ্তিজনিত কষ্ট দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং নারী যদি পর্যায়ক্রমে কিছুদিন এই অতৃপ্তিজনিত কষ্টভোগ করতে থাকে তবে ক্রমশ যোনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে।
পুরুষ বির্যপাত করলেই পূর্ণ তৃপ্তি পায়, কিন্তু নারীর পূর্ণ তৃপ্তি সহজে হয় না, এর জন্য যথেষ্ট সময় এবং সক্ষম পুরুষের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিটি নারী দির্ঘ সহবাস পছন্দ করে। যৌন দুর্বল পুরুষ কখনোই স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে পারে না। স্বামী হিসেবে উচিত নিজেকে সুপুরুষ প্রমান করা।
( Copy )