রাতের নিস্তব্ধতা আর একাকী পথচলা—এই দুইয়ের মধ্যে এক অদ্ভুত সংযোগ আছে। দিনের বেলায় যে রাস্তা আমাদের অতি পরিচিত, রাতের অন্ধকারে সেই রাস্তাই যেন অচেনা এক রূপ নেয়।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, রাতে একা হাঁটলে আমাদের কেন এত ভয় লাগে? এই ভয়টা কি শুধুই বিপদের আশঙ্কা, নাকি এর পেছনে আরও গভীর কোনো কারণ লুকিয়ে আছে?
দিনের কোলাহলে আমরা এতটাই ব্যস্ত থাকি যে নিজের সাথে কথা বলার ফুরসত পাই না। কিন্তু রাতের নিস্তব্ধতা আমাদের সেই সুযোগ করে দেয়।
Deedly
Namaz Tracker for Muslims
কত আর পর্ন ভিডিও দেখবেন ভাই? মরবেন তো একদিন। নামাজের কোন খবর আছে? গত সাতদিনে কয় ওয়াক্ত নামাজ মিস করেছেন, হিসাব রেখেছেন? আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করেন এবং চলেন আমরা একসাথে এই আসক্তি থেকে বের হয়ে আসি এবং নামাজে মনযোগী হই।
Join Facebook Groupচারপাশের ভৌতিক নীরবতা যখন আমাদের গ্রাস করে, তখন বাইরের অন্ধকারের চেয়েও ভেতরের অন্ধকারটা যেন বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আমাদের মনে জমে থাকা অপ্রাপ্তি, আক্ষেপ আর না-বলা কথাগুলো তখন ফিসফিস করে কথা বলতে শুরু করে।
এই ভয়টা হয়তো বাইরের কোনো কিছুর নয়, বরং নিজের ভেতরের শূন্যতার মুখোমুখি হওয়ার ভয়।
ছোটবেলা থেকে শোনা ভূত-প্রেতের গল্প, অশরীরী আত্মার কাহিনীগুলোও এই ভয়ে ইন্ধন জোগায়।
নির্জন রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের আলো-আঁধারিতে গাছের ছায়াকে হঠাৎ কোনো দীর্ঘকায় মূর্তি বলে ভ্রম হয়। শুকনো পাতার মর্মর শব্দে মনে হয়, কেউ যেন নিঃশব্দে অনুসরণ করছে।
আমাদের মস্তিষ্ক তখন আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। সে আমাদের পরিচিত পরিবেশকে ব্যবহার করেই এমন সব বিভ্রম তৈরি করে, যা আমাদের অস্তিত্বকে নাড়িয়ে দেয়।
আমরা আসলে অন্ধকারে ভয় পাই না, আমরা ভয় পাই “অজানা”কে। ওই অন্ধকারের আড়ালে কী লুকিয়ে আছে, সেই কল্পনাটাই আমাদের সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত করে।
এই ভয়টা আসলে আমাদের আদিম প্রবৃত্তির অংশ। আদিম যুগে মানুষ রাতের অন্ধকারকে ভয় পেত, কারণ хищ্র জন্তুর আক্রমণের আশঙ্কা থাকত।
সেই ভয় আজও আমাদের জিনে রয়ে গেছে। আধুনিক সভ্যতার প্রলেপ দিয়েও আমরা সেই আদিম ভয়কে পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারিনি।
তাই যখনই আমরা একা এবং অরক্ষিত থাকি, বিশেষ করে রাতে, সেই পুরনো আতঙ্ক আবার জেগে ওঠে।
তবে সবশেষে মনে হয়, এই ভয়টা আসলে আমাদের একাকীত্বের প্রতিচ্ছবি। এই বিশাল পৃথিবীতে আমরা প্রত্যেকেই একা।
দিনের আলোয়, মানুষের ভিড়ে আমরা সেই একাকীত্ব ভুলে থাকার অভিনয় করি।
কিন্তু রাতের নির্জনতা আমাদের সেই কঠিন সত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। তখন মনে হয়, এই যে ছুটে চলা, এতকিছু—সবই অর্থহীন।
দিনশেষে আমরা একা, আর আমাদের গন্তব্যও এক অন্ধকার, অজানা পথে। রাতের ওই পথটা যেন আমাদের সেই অন্তিম যাত্রারই এক ছোট মহড়া।
হয়তো তাই, রাতে একা হাঁটলে আমাদের এত ভয় লাগে। ভয়টা মৃত্যুর নয়, ভয়টা হলো জীবনের এই নিদারুণ একাকীত্ব আর অর্থহীনতার।